স্বদেশ ডেস্ক: বলিউড অভিনেত্রী কাজল দেবগন বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন ‘তানহাজি: দ্য আনসং ওয়ারিয়র’ ছবির কাজ নিয়ে। ছবিটিতে তিনি তার স্বামী অজয় দেবগনের বিপরীতে অভিনয় করছেন। এবার বিয়ে, স্বামী, সংসার, গর্ভপাতসহ নানা বিষয়ে কথা বললেন বলিউডের এ বাঙালি অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার কাজল দেবগন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন। এই ছবির সঙ্গে তিনি তার ব্যক্তি জীবনের একটি বিশাল লেখা জুড়ে দেন।
কাজল তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেন, ‘২৫ বছর আগে ‘হালচাল’ সিনেমার সেটে আমাদের প্রথম দেখা, সেখানেই একে অপরের সাথে পরিচয়, আমি আমার শুটের জন্য প্রস্তুত ছিলাম এবং জানতে চেয়েছিলাম, ‘আমার হিরো কোথায়’? তখনই কেউ একজন ওর (অজয়) দিকে ইঙ্গিত করে, ও তখন এক কোণে বসেছিল। তার সঙ্গে কথা বলার আগে, আমি তার সম্পর্কে একটু খোঁজ-খবর নিয়ে নিয়েছিলাম। এই সেটেই আমার একে অপরের সঙ্গে কথা বলি, আর আমাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সময় আমার সঙ্গে অন্য একজনের সম্পর্ক ছিল, অজয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি বেশ কয়েকবার তার সম্পর্কে অভিযোগও করি। তার কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।’
তিনি লেখেন, ‘সেই সময় অজয়কে নিয়ে আমার বন্ধুরা আমাকে সচেতন করেছিল। কারণ তখন ও বেশ নাম করা একজন অভিনেতা, কিন্তু আমার সাথে ওর সম্পর্কটা ছিল একেবারেই আলাদা।’
এ বলিউড অভিনেত্রী লিখেন, ‘আমরা (অজয় ও কাজল) একে অপরকে প্রায় ৪ বছর সময় দিয়েছি। এরপর আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। ওর বাবা-মার এই বিয়েতে কোনো আপত্তি ছিল না, তবে আমার বাবা চার দিন আমার সঙ্গে কথা বলেননি। আসলে বাবা আমাকে আরও প্রতিষ্ঠিত দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। কারণ সেই সময় আমার ঠিক করে ফেলেছিলাম যে, আমরা একে-অপরের সঙ্গেই জীবন কাটাতে চাই। আমাদের বিয়ের আসর বাড়িতেই বসেছিল, তবে মিডিয়ার লোকদের ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। কারণ, আমরা চেয়েছিলাম ওই দিনটা শুধু আমাদের হোক।’
‘কাভি খুশি কাভি গম’র শুটিং-এর সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। তবে তার সে সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পারেনি জানিয়ে কাজল দেবগন লেখেন, ‘সেই সময় আমি হাসপাতালে, সিনেমা তো সফল হয়, কিন্তু আনন্দ করার মতও অবস্থায় ছিলাম না।’
এরপরও আরও একবার তার গর্ভপাত হয় জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘কিন্তু শেষপর্যন্ত আমাদের জীবন ভরিয়ে দিয়েছে আমার নাইসা ও যুগ। ওরা আমাদের জীবন সম্পূর্ণ করে দিয়েছে।’